December 22, 2024, 8:50 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে দুই বাংলাদেশীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তনক্ষী বিএসএফ’র বিরুদ্ধে।
ঘটনা ঘটেছে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে শুক্রবার রাতে। নির্যাতিতদের পরিচয় হলো উপজেলার ঠাকুরপুর বাজারপাড়ার মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে কদম আলী (৩৫) ও একই এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে বাবু ওরফে কালু (৩০)।
এদেরকে আহতাবস্থায় সীমান্ত তেকে তুলে এনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কালু সেখানেই চিকিৎসাধীন। আর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দেয়ায় কদম আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহতদের আত্মীয় ও স্থানীয়রা জানান, কদম আলী ও বাবু দু’জন গরু পাচারকারী কাজে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে এরা ভারত থেকে গুরু এনে ব্যবসা করে।
কালুর সহযোগী রাবেদ আলী জানায় শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে গরু আনতে ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮১ নং মেইন পিলারের আশ পাশ দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করতে যেয়ে বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে। বিএসএফ ঘটনাস্থালেই তাদেরকে চরম মার দেয়। এক পর্যায়ে সেখানেই ফেলে রেখে তারা চলে যায়।
তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান জানান, আহত কদম আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার পিঠে বেয়নেটের তিনটি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার ডান হাতের কনুইয়ে ক্ষত আছে, ডান পায়ে ক্ষত আছে। তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত বাবুর মা রাশিদা খাতুন বলেন, শুক্রবার রাতে সীমান্তে গরু আনতে যায় বাবু ও কদম। বিএসএফ’র সদস্যরা তাদেরকে মারধর করে বরে তিনি শুনেছেন।
সকালে কদম আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, সীমান্তের উল্লেখিত স্থানে আহত অবস্থায় ঐ দুজনকে পাওয়ার পর বিজিবি ঠাকুরপর ক্যাম্প জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবু নামের একজনকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সেখানে সীমান্তে গরু পাচারের সাথে তাদের সম্পর্কের কথা সে স্বীকার করে। তবে বিএেসএফ’র হাতে নির্যাতনের বিষয়টি তারা বিজিবিকে এড়িয়ে গেছে। যেহেতু তারা অসুস্থ্য ছিল তাই তাদেরকে দ্রæত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply